Friday, January 10, 2014

স্বদেশাপ্লুত ভালোবাসার শব্দছবি

খোন্দকার আশরাফ হোসেনের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ ‘সুন্দরী ও ঘৃণার ঘুঙুর’-এ আর যাই থাক ঘৃণা নেই, আছে সবিশেষ স্বদেশাপ্লুত ভালোবাসা; কাঁচা-পাকা, হিসেবি-বেহিসেবি, মাত্রাময়-মাত্রাছাড়া। মানবীরূপী একজন কোনো সুন্দরী এখানে উপস্থিত আছে কি না, যার প্রতি নিবেদিত এসব পঙক্তিমালা, তা নিয়েও সংশয় জাগতে পারে। অবশ্য স্বদেশই যদি কথিত সুন্দরী হয়, তবে তা ভালোভাবেই আছে। আর সে কারণেই হবে হয়ত যে, গ্রন্থভুক্ত অনেক কবিতাকে বেজায় কেজো মনে হয়। নিরর্থকতার যে সীমায় অনেক পাঠক কবিতাকে একান্ত নিরলে একা পেতে চান, সেরকমটি এখানে কালেভদ্রে ঘটে। তাতে অমন কবিতানুরাগীরা এ গ্রন্থপাঠে নাখোশ হবার ভাব করলে আমরা তাদের প্রবোধ দেবার অজুহাত খুব কমই খুঁজে পাই। অবশ্য তাদের উদ্দেশে এ কথাটি বলবার সুযোগটুকু আমরা যৌক্তিকভাবেই নিতে পারি যে, ‘কেজোকথা সর্বদা হেলাফেলা করিবার নয়’। বরং দেখা যায় এর নদীতীর ধরে যথেচ্ছ হেঁটে, এর বিষণ্ন প্রাঙ্গণে নিবিড়ভাবে বসে, যে, মাথার ওপর দিয়ে কত কী পাখি উড়ে যায়, মিথের। অতীতের চেনা-অচেনা নানা পৌরাণিক ও লোকচরিত্র, লোকবাচন, নির্বিঘ্নে পাশের গোপাট বেয়ে ধেয়ে যায়, বাংলার পথে। এ সময়ের নানাকিছুর তারা অংশী হয়। কবিতার এটা এক গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি বটে। এটা করে দেখাতে পারা ছেলেখেলা নয় কিংবা নিবিড়ভাবে কাছে থেকে একে দেখতে পারাও কোনোভাবে আকামের নয়।

এর বাইরে আমরা কথা বিশেষ খুঁজে পাই না এ বই নিয়ে বলবার। কিন্তু তবু কথা বলতে হবে। অন্তত হাজার শব্দ তো বটেই। কেউ কেউ কথা ভালোবাসে। কেউ কেউ কথার ওজন নয় পরিমাণ মাপে। কেউ কেউ অর্থ নয় আওয়াজেই কাঁপে।

আমরা অগত্যা গ্রন্থধৃত কতিপয় কবিতার জানালায় উঁকি দেবো বলে ভাবি। পারি তো দরজা ঠেলে ভেতরেও ঢুকে যাব, বসব কতক। গৃহবাসীর সাথে ভাববিনিময় করব। তাতে যদি কিছু কথা রোচে যায়, ওই দিয়ে হয়ত-বা মুখরক্ষা হবে। সবেধন একটাই মুখ, আমাদের, তা যদি হারাই এসে এইখানে খেলা খেলা কথা বলে, কেজোকথার গরমাগরম দিনে লজ্জার একশেষ হবে।

২.
গ্রন্থযাত্রার শুরু ‘বেহুলা বাংলাদেশ’-এ; মিথিক বাস্তবতায় স্বদেশপ্রেমের জোয়ার বইয়ে দিয়ে। সংগতভাবেই বেহুলা বাংলায় লখিন্দর আছে, আছে দুর্বাসা, দ্রৌপদী ও ইন্দ্র। দায়িত্ব পেয়েছেন এখানে অর্ফিয়ুসও। কিন্তু এসব তথ্যে আমাদের মন ভরে না, যতক্ষণ না আমরা ‘আলোর বর্ষণে গর্ভবতী’ হওয়া বা ‘পিপাসার অশ্ব’ ছোটানোর মতো মেটাফরের সামনে পড়ি। বুঝি যে তিনি কবিতাই করতে বসেছেন, দেশগাথা বর্ণনার ছলে। দু'কূল রক্ষার এই সচেষ্টতাই কবিকুলে তাঁকে বিশিষ্টতা দিয়েছে। এ কবিতার ভেতর দিয়ে যেতে যেতে স্বরে ও সরগমে আমাদের গায়ে এসে জীবনবাবুর ‘অন্ধকার’-এর আঁচ লাগে। ‘নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না’র অ্যালিউশন হাজির করে আমাদের তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, একটা জগদ্দল পাথরের সামূহিক ক্ষয়ক্ষতির লেজের অন্ধকার বর্ণনা করাই তার এখানকার প্রধান অভীষ্ট।

এই বিষাদময় অন্ধকারই বোধকরি তার চৈতন্যকে শাসন করতে থাকে। তা নইলে কেন সুকান্তের মতো এই পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাবার ‘সুশোভন প্রতিশ্রুতি’ না-দিয়ে তিনি তার উলটোটাই করবেন? বৈশ্বানর, কৃষ্ণ, অর্জুন, স্পার্টাকাসকে হাজির-নাজির রেখেও কেন প্রিয় পুত্রকে সাহসী অভিমন্যু করে যুদ্ধক্ষেত্রে ঠেলে দেবেন, যেখানে তার ট্র্যাজিক পরিণতির কথা আমরা জানি? কী এমন সংগত কারণ আছে এই বিষাদবয়ানের? এর জবাবও দেখা যায় তিনি নিজেই দিয়ে রেখেছেন ‘বর্ষা ১৩৯৫’ কবিতায়। বলছেন, ‘এখন উদ্ভটতার ব্যাকরণ হাতে দীর্ঘ আলখাল্লা-পরা অন্ধকার/ আলোর উঠানকে খুব শাসাচ্ছে’। কারণ ‘(ঘোড়সওয়ারেরা চলে গেলে প্রান্তরের ভাওয়া ব্যাঙ-ও/ হানড্রেড মিটার রেসে জিতে নেয় সোনার পদক)’। যেজন্য তাঁর মনে হয় ‘বাংলার বর্ষা বড় মরিচাপ্রবণ’। আশ্চর্য লাগছে তো! লাগবারই কথা। বাংলার কবিকুল মাতোয়ারা থাকেন যে বর্ষায়, তাতেও তিনি মরিচা দেখেন? এমন তাঁর মনে হয় কারণ তাঁর কাছে বর্ষাও দেশনিরপেক্ষ কোনো অস্তিত্ব নয়; কারণ ‘নিরন্নের ভাতের থালায় কানকোতে হেঁটে আসা/ সুরভিত কৈ মাছের রূপকথা’ আজ নির্বাসিত। বইয়ের ‘বৌমাছ’, ‘যাত্রা’, ‘ধানরমণী’সহ অনেকানেক কবিতায় বাঙালিয়ানার সুবাস মাখিয়ে রাখেন তিনি। এসব আয়োজনে আবারো দেখা হয়ে যায় বেহুলার সাথে, খুল্লনা ও লহনার সাথেও। ‘কালপূর্ণিয়া’য় বন্দনা করেন দেশমাতার। ওই ট্র্যাজেডির বয়ানে তাঁর আকাশের চাঁদ হয়ে যায় ‘মর্মমূলে গাঁথা/ সারাসিন চাকু’ ! বটেই তো। তা নইলে রক্তপাতের এমন ভয়াবহতা দেখত কী করে বাংলার মানুষ?

কবিতায় তাঁর এ ধরনের ট্রিটমেন্ট দেখে মনে পড়ে যায় তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দেশানুরক্তি তাঁর অন্যতম চেতনানির্মাতা। এ বই প্রকাশের সময়কার ২১ বছরের পরিণত বয়সি বাংলার গায়ের নানা ক্ষতস্থানের দিকে চোখ পড়ামাত্র তাঁর প্রাসঙ্গিক প্রতিক্রিয়া ব্যঞ্জিত হয়ে ওঠাকে আমাদের কাছে কাজেই কোনো আরোপন মনে হয় না। তাঁর কবিচৈতন্যের গঠনপ্রক্রিয়ারও এ এক মৌল উপাদান। কবির সমুদয় সৃজনোল্লাস এই পথ বেয়েই তার গন্তব্যে পৌঁছেছে। ফলত এখানে দেখা হয়ে যায় বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য, আইল-বাতর, রূপকথা-লোকাচারের সাথে।

ঈর্ষণীয় সবুজ বিষয়ে তাঁর কিছু বলবার থাকে, বাংলার; বলেনও। কেননা ‘চোখের দৃষ্টির জন্য সবুজের মতো ভালো/ চিকিৎসা নেই’। ‘আমার স্বদেশে সুখ্যাতি আছে সবুজের’ স্বরে আমরা শুনি পূর্বকবির ধ্বনি, তিনিও যেন বাংলার কিংবদন্তীর কথাই বলছেন নিজস্ব ভাষায়। মনে হয়, আবারও সেই দেশগাথা, আবারও কেজোপ্রেম। কিন্তু না, কেজোকে তিনি কেজো করেই রাখেন না, উতরাতে জানেন। সততই মেটাফর খুঁজে ফেরেন তিনি। অদ্ভুত সব চিত্রকল্পের প্রেমে পড়ে যান। একই ছবি এঁকে বসেন একাধিক কবিতায়। একইসঙ্গে ‘তারাদের হলকায়ে জেকের’ দেখেন-শুনেন ‘তাসের খেলা’ ও ‘প্রুফ্রকের প্রুফকপি’তে। আবার ওই ‘প্রুফ্রকের প্রুফকপি’তে যেমন দেখেন ‘শূন্য/ রাজপথে ফিগার স্কেটিং করে বাদামের খোসা’, তেমনি ‘কবিতা কোলাজ’-এর ‘অদ্ভুত’জুড়ে দেখতে পান ‘প্রান্তরের এপার থেকে ওপারে/ ফিগার-স্কেটিং করছে মেঘ’। কোথায় বাদামের খোসা, আর কোথায় মেঘ। দুইয়েরই এক আচরণ। বারণ নেই। দেখবার চোখটাই এখানে আসল, দেখানোরও। এই ছবি চিরন্তন। আর চিরছবির এই বলনকেতা তাঁর এমনই নিজস্ব যে, বারবার বলে তার নিশান উড়িয়ে রাখা প্রয়োজন মনে করেন। হয়ত না। আসলে বোধহয় মালিকানাবোধ থেকে নয়, বরং ওসব মনোমুগ্ধকর ছবির কাছে যে ধরা খেয়ে থাকে তাঁর আমূল কবিচিত্ত, তারই এ স্বতঃপ্রকাশ।

৩. 
পেশাগতভাবে ইংরেজি সাহিত্যের সঙ্গে দীর্ঘদিন ঘর করেছেন তিনি। কিন্তু এ সম্পর্ক পেশার গণ্ডিতেই আবদ্ধ রাখেন নি, মাখিয়ে নিয়েছেন আমূল অস্তিত্বের সঙ্গে। এর মাধ্যমে বিশ্বকবিতার যে আঁতের খবর তিনি জেনে ফেলেছিলেন ও জানছিলেন, তা নিয়মিত জানিয়ে গেছেন বাংলা কবিতার পাঠকদেরও। এই পরিসরে তাঁর হাতে যে সোনালি শস্যগুলো রূপ বদলে নিয়েছে বাংলাভাষায়, তা ঋদ্ধ করেছে বাংলা কাব্য ও প্রবন্ধ সাহিত্যকে। এ সংবাদ এখানে প্রাসঙ্গিক এ কারণে যে, প্রত্যক্ষ ওই আয়োজনের গভীরে সহজাতভাবে আরেকটি আয়োজনও সেরে নিয়েছিলেন তিনি, তা হলো, নিজের কবিতাবোধকে দিতে পেরেছিলেন একটি সমীহজাগানিয়া উচ্চতা। ওই উজ্জ্বলতা অনুপস্থিত নয় ‘সুন্দরী ও ঘৃণার ঘুঙুর’-এও। কবিতা তো বটেই, এ বইয়ের কিছু কবিতার নামকরণও অনেক বিখ্যাত বিশ্বকবিতার কথা মনে রেখে করা; যেমন, টি. এস. এলিয়টের ‘দি লাভ সঙ অব জে আলফ্রেড প্রুফ্রুক’-এর স্মরণে খোন্দকার আশরাফ হোসেনের ‘প্রুফ্রকের প্রুফকপি’, কোলরিজের ‘দি রাইম অব দা অ্যানসিয়েন্ট মেরিনার’ স্মরণে তাঁর ‘বুড়ো নাবিকের প্রেমগীতি’। কবিতায় ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধনের যে বিবেচনা হাজির করেছিলেন টি. এস. এলিয়ট তাঁর ‘ঐতিহ্য ও ব্যক্তিপ্রতিভা’ নামক সুবিখ্যাত প্রবন্ধে, খোন্দকার আশরাফ হোসেন সেই মেলবন্ধন রচনা করেছেন। নিজের কবিতাদেহের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তার অনুরণনও ছড়িয়ে পড়েছে যথাসাধ্য, যে খবর ইতোমধ্যে এ লেখায়ও মূর্ত হয়েছে।

৪.
আলোচ্য বই থেকে কবিতার পর কবিতা হাজির না-করে কম কথায় আলাপ সারবার পরিকল্পনার এ পর্যায়ে এসে মনে হয়, বলবার কথার পুঁজি আমাদের, এবার বুঝি সত্যিই ফুরালো। কৌতূহলী পাঠকের আকাঙ্ক্ষা এ দিয়েই নিবৃত্ত হবে কি না, এরকম ভাবনা যদিও জাগে মনে। তখন মনে হয়, গৌণ হোক তবু আরো কিছু তথ্য হয়ত এখানে উঠিয়ে রাখা যায় বইটি সম্পর্কে; যেমন, দেশবিষাদমণ্ডিত কবিতাভাণ্ডারে সমৃদ্ধ এ কবিতে প্রেমিকসুলভ আত্মবিশ্বাস এবং অহঙ্কারও দ্রষ্টব্য বটে। আর সেটা ‘(লাউডুগি যেমন মিশে থাকে জলঘাসের হৃদয়ে)’, ঠিক তেমন করে। যেহেতু ‘ভালোবাসিয়াছি ভালোবাসিয়াছি ভালোবাসে নাই ভালো’ বা ‘এ শরীর আজ বহু বসন্তের প্রেমের আগুনে পোড়া’, তাই জ্বরাক্রান্তের প্রেমের উত্তাপ নিয়ে শীতলতায় যাবার বাসনা থাকা এ পরিসরে নিতান্ত সংগত। কিন্তু তবু কারো উদ্ভট করুণা না-নেবার দৃঢ়তা তিনি মুহূর্তের জন্যও হারান না। ফলে আমরা একইসঙ্গে দেখি এ বইয়ে কবির ‘হৃদপিণ্ডের শব্দ থেকে গড়িয়ে পড়ছে ভালোবাসার জবাফুল’। কিংবা বলা যায়, এ বইয়ে প্রধানত খোলা অক্ষরবৃত্তেই সেরেছেন তিনি তাঁর কথালাপ। মাঝে মাঝে স্বরবৃত্তের ঘোড়ায় চড়েও পরিকল্পিত ভ্রমণে বের হয়ে গেছেন তিনি ‘ঘৃণার ঘুঙুর’, অংশত ‘চিকিৎসা’ ও ‘কবিতা কোলাজ’-এর ‘পদাবলী’পথে। স্বরবৃত্তে জগতোদ্ধার যাত্রায় তাঁর পথে পথে পালকি দোলা, বনে বনে ময়ালভীতি। এসবে আমরা নেচে উঠি, ফের থামি আত্মতুষ্ট হয়ে। পাশাপাশি এ বইয়ে মাত্রাবৃত্তের সফল প্রয়োগও তাঁর হাতে হয়েছে ‘বুড়ো নাবিকের প্রেমগীতি’র ছলে। বলা যায় এ কথাও যে, মুগ্ধ হতে হয় তাঁর প্রয়োগকৃত সৌন্দর্যময় কিছু শব্দবন্ধের দিকে চেয়ে; যেমন, ‘জলকরঙ্কবাহি’, ‘কণ্টকঝোপাবৃত’; কিংবা এই ভয়ঙ্কর ছবিতে যে, ‘সুর্মা-পরানো আয়ত চোখের কুহকিনী এক নারী/ শিশ্নমুণ্ডে পরিয়ে দিয়েছে অষ্টধাতুর বালা’। এখানে এটা উল্লেখের ইচ্ছে পোষণও হয়ত অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে, ‘ধূমশলাকার শ্যামপীরিতি ছাড়তে হবে’র মতো পঙক্তি লিখে তিনি এ পীরিতাঘাতে কাতর সহস্রজনের গোপন আকাঙ্ক্ষাটিও মূর্ত করে রেখেছেন। যদিও তাঁকে কখনোই ধূমশলাকায় বুঁদ হয়ে থাকতে দেখি নি দু’চোখে।

‘সুন্দরী ও ঘৃণার ঘুঙুর’-এ ব্যাপকভাবে পাঠকপ্রিয় হবার মতো মোহটান নেই, প্রকাশিত হবার পরের ২১ বছরজুড়ে তা স্বতঃপ্রমাণিত। তবে একজন গুরুত্বপূর্ণ কবির নাতিদীর্ঘ যাত্রাপথের এ মধ্যঘাট তাঁর সমুদয় কাব্যবৈশিষ্ট্যের লক্ষণ ধারণ করে বিশিষ্ট হয়ে আছে; যার দিকে ফিরে ফিরে তাকানোয় আমাদের কোনো দায়মুক্তি নেই।

মুহম্মদ মুহসিন সম্পাদিত 'ধানসিড়ি'র অক্টোবর ২০১৩ সংখ্যায় প্রকাশিত

No comments:

ভাষাবস্তু অবয়বে ধরে রাখে ভাষাচিন্তারেখা

ধর্মতত্ত্ব, বিবর্তনতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব প্রভৃতি বিষয়ে অত্যল্প জানাশোনা আমাকে এরকম একটা গড় ধারণা দেয় যে, মানবপ্রজাতি আদিতে এক গোষ্ঠীভুক্ত ছিল। বি...